২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার

২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, ভিডিও এডিটিং কত প্রকার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ।
২৫টি-সেরা-ভিডিও-এডিটিং-সফটওয়্যার-ও-তাদের-ব্যবহার
ভিডিও এডিটিং শিখতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষতা বাড়ে, তাই ধারাবাহিকভাবে চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার সে সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
.

২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার

বর্তমান সময়ে ভিডিও কনটেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও এডিটিংয়ের গুরুত্বও বেড়েছে বহুগুণে। যারা ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা প্রফেশনাল প্রজেক্টে ভিডিও তৈরি করেন, তাদের জন্য সঠিক ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বাছাই করা অত্যন্ত জরুরি। আজকের এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব ২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার নিয়ে।

পাশাপাশি জানব ভিডিও এডিটিং এর প্রকারভেদ, ধাপ, ক্যারিয়ার এবং ইনকাম সম্পর্কেও। এখানে আমরা তুলে ধরছি জনপ্রিয় ও কার্যকর ২৫টি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার, যেগুলো বর্তমানে পেশাদার এবং শিক্ষানবিস-দুই ধরনের ব্যবহারকারীদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়।

   

সফটওয়্যার নাম

ব্যবহার

Adobe Premiere Pro

প্রফেশনাল গ্রেড ভিডিও এডিটিং

Final Cut Pro

ম্যাক ইউজারদের জন্য

DaVinci Resolve

কালার গ্রেডিং  প্রফেশনাল এডিটিং

Sony Vegas Pro

ইউটিউবার  মিডিয়াকর্মীদের পছন্দ

HitFilm Express

ফ্রি VFX এবং এডিটিং

Lightworks

ফাস্ট এডিটিং  প্রফেশনাল কাজ

Filmora

শিক্ষানবিসদের জন্য আদর্শ

Camtasia

স্ক্রিন রেকর্ডিং সহ এডিটিং

iMovie

আইওএস  ম্যাক ইউজারদের জন্য

Openshot

ওপেন সোর্স এবং ফ্রি

Blender

3D ভিডিও এডিটিং সহ

VSDC Free Video Editor

ফ্রি এবং হালকা সফটওয়্যার

Avid Media Composer

প্রফেশনাল ফিল্ম এডিটিং

CyberLink PowerDirector

হোম এডিটিং  সোশ্যাল কনটেন্ট

Pinnacle Studio

ইন্টারমিডিয়েট ইউজারদের জন্য

Shotcut

ওপেন সোর্স

Kdenlive

লিনাক্স ইউজারদের জন্য

Magix Movie Edit Pro

কালার  অডিও সাপোর্টে উন্নত

Adobe After Effects

ভিএফএক্স  মোশন গ্রাফিক্স

InVideo

অনলাইন ভিডিও তৈরির জন্য

WeVideo

ক্লাউড-বেসড ভিডিও এডিটিং

Clipchamp

সহজে শিখনযোগ্য

Movavi Video Editor

দ্রুত এডিটিং

Lumen5

ব্লগ কনটেন্ট থেকে ভিডিও তৈরি

VideoPad

হালকা এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি

এই ২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার বিভিন্ন পর্যায়ের ইউজারের চাহিদা পূরণ করে থাকে। আপনি যদি একজন শিক্ষানবিস হন, তবে Filmora বা Openshot দিয়ে শুরু করতে পারেন। আবার প্রফেশনাল গ্রেডের কাজের জন্য Adobe Premiere Pro বা DaVinci Resolve সেরা।

ভিডিও এডিটিং কত প্রকার (Secondary Keyword)

ভিডিও এডিটিং হল একটি সৃজনশীল ও কারিগরি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোনো ভিডিও ফুটেজকে কাটাছেঁড়া, সংযোজন, রঙ ঠিক করা এবং প্রয়োজনীয় ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট যোগ করে আকর্ষণীয় ও পেশাদার ভিডিও তৈরি করা হয়। এই ভিডিও সম্পাদনা বিভিন্ন প্রকার হতে পারে, যার প্রতিটির নির্দিষ্ট প্রয়োগ ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আধুনিক যুগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিজিটাল সফটওয়্যার ব্যবহার করে নন-লিনিয়ার এডিটিং পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

তবে অন্যান্য প্রক্রিয়াগুলিও বিশেষ প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি প্রাথমিক ভিডিওর গঠন তৈরিতে অফলাইন এডিটিং করা হতে পারে, যেখানে মূল ভিডিওর লো-রেজুলেশন কপি ব্যবহার করা হয়। পরে সেই কাজকে চূড়ান্ত রূপ দিতে অনলাইন এডিটিং ব্যবহৃত হয়, যাতে হাই-রেজোলিউশন ফুটেজে নিখুঁতভাবে রঙ, অডিও ও ইফেক্ট সামঞ্জস্য করা হয়। ভিডিও এডিটিং কত প্রকার।

পাশাপাশি, গ্রাফিক্স ও স্পেশাল ইফেক্ট যোগ করতে কম্পোজিটিং বা ভিএফএক্স এডিটিং ব্যবহার হয়। আর প্রাচীন ধারার লিনিয়ার এডিটিং এখন খুব একটা ব্যবহৃত না হলেও ইতিহাসে এর অবদান রয়েছে। সঠিক ভিডিও এডিটিং ধরণ বুঝে ব্যবহার করলে ভিডিওর গুণমান ও প্রভাব অনেকগুণ বেড়ে যায়। ২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার।

ভিডিও এডিটিং এর প্রকারভেদঃ
  • লিনিয়ার এডিটিং (Linear Editing) – ধারাবাহিকভাবে টেপে সিন এডিট করার পুরনো পদ্ধতি।
  • নন-লিনিয়ার এডিটিং (Non-Linear Editing) – সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে এডিট করা যায়।
  • অফলাইন এডিটিং – লো-রেজুলিউশন দিয়ে প্রাথমিক এডিটিং।
  • অনলাইন এডিটিং – ফাইনাল, হাই-রেজুলিউশন ভিডিও সম্পাদনার ধাপ।
  • কম্পোজিটিং বা VFX এডিটিং – গ্রাফিক্স ও স্পেশাল ইফেক্ট সংযোজন।
সঠিক ধরনের ভিডিও এডিটিং পদ্ধতি বেছে নেওয়া একজন এডিটরের দক্ষতা এবং প্রজেক্টের মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিটি ধরণের এডিটিংয়ের নিজস্ব ব্যবহারিক দিক রয়েছে, যা বুঝে প্রয়োগ করলেই কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব। ২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার।ভিডিও এডিটিং কত প্রকার।

প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং কোর্স

যদি আপনি ভালোভাবে ভিডিও এডিটিং শিখতে চান এবং এ কাজ থেকে আয় করতে চান, তাহলে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং কোর্স করা অনেক দরকারি। কারণ শুধু ইউটিউব দেখে শেখা অনেক সময় ঠিকভাবে কাজ শেখায় না। কিন্তু একটি ভালো মানের কোর্স করলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু পরিষ্কারভাবে শেখানো হয়। এই কোর্সে আপনি শিখবেন কিভাবে ভিডিও কাটা, সংযোজন করা, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যোগ করা, রঙ ঠিক করা (কালার কারেকশন)।

এবং সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়। Adobe Premiere Pro, Final Cut Pro, DaVinci Resolve  এসব জনপ্রিয় সফটওয়্যার ব্যবহার শেখানো হয় কোর্সের মাধ্যমে। এছাড়া মোশন গ্রাফিক্স, ট্রানজিশন ও স্পেশাল ইফেক্ট কিভাবে যুক্ত করতে হয় তাও শেখানো হয়। অনলাইনে অনেক ভালো কোর্স পাওয়া যায় যেমন Udemy, Coursera, Skillshare ইত্যাদি। অনেকেই আবার লোকাল ট্রেনিং সেন্টারে গিয়েও শিখে থাকেন। ভালো একটি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং কোর্স করলে।

আপনি নিজের চ্যানেলের ভিডিও এডিট করতে পারবেন, আবার চাইলে ফ্রিল্যান্সিং বা চাকরির মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনে অনেক ভালো কোর্স পাওয়া যায় যেমন Udemy, Coursera, Skillshare ইত্যাদি। অনেকেই আবার লোকাল ট্রেনিং সেন্টারে গিয়েও শিখে থাকেন। ভালো একটি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং কোর্স করলে আপনি নিজের চ্যানেলের ভিডিও এডিট করতে পারবেন, আবার চাইলে ফ্রিল্যান্সিং বা চাকরির মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারবেন।২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার। ভিডিও এডিটিং কত প্রকার।

ভিডিও এডিটিং করার ধাপ গুলো কি কি

ভিডিও এডিটিং শিখতে চাইলে প্রথমেই জানা জরুরি এই কাজটি ধাপে ধাপে কীভাবে হয়। প্রতিটি সফল ভিডিও তৈরির পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ থাকে, যেগুলো ঠিকভাবে অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজেই একটি মানসম্মত ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।

• ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহঃ প্রথমে যেকোনো ভিডিও প্রজেক্টের জন্য প্রয়োজনীয় ভিডিও ক্লিপ, ছবি, অডিও এবং অন্যান্য ফাইল সংগ্রহ করতে হয়।

• ভিডিও ইমপোর্ট করাঃ সফটওয়্যারের মধ্যে (যেমন: Adobe Premiere Pro বা DaVinci Resolve) ভিডিওগুলো ইমপোর্ট করতে হয়, যাতে সেগুলো এডিট করা যায়।

• কাটিং ও ট্রিমিংঃ অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে দেওয়া হয়, আর প্রয়োজনীয় অংশগুলো সাজানো হয়। এটিই হলো মূল এডিটিং কাজ।

• ট্রানজিশন ও এফেক্ট যোগ করাঃ দৃশ্যের মধ্যে ট্রানজিশন এবং কিছু ভিজ্যুয়াল এফেক্ট যোগ করে ভিডিওকে আরো আকর্ষণীয় করা হয়।

• কালার কারেকশন ও কালার গ্রেডিংঃ ভিডিওর রঙ ঠিক করা হয় যাতে তা প্রাকৃতিক এবং প্রফেশনাল দেখায়।

• ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ও ভয়েস যোগঃ ভিডিওতে সাউন্ড এফেক্ট, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অথবা ভয়েসওভার যোগ করা হয়।

• টেক্সট ও সাবটাইটেলঃ ভিডিওর প্রয়োজন অনুযায়ী টাইটেল, টেক্সট অথবা সাবটাইটেল যোগ করা হয়।

• ফাইনাল রিভিউ ও এক্সপোর্টঃ সবকিছু ঠিক আছে কিনা দেখে নেওয়ার পর ভিডিওটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে এক্সপোর্ট করে চূড়ান্ত আকারে সংরক্ষণ করা হয়। ২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার।

এই ধাপগুলো অনুসরণ করলেই আপনি ধাপে ধাপে একটি সম্পূর্ণ ভিডিও তৈরি করতে পারবেন যা দেখতে সুন্দর এবং প্রফেশনাল হবে।

ভিডিও এডিটিং ক্যারিয়ার

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ভিডিও কনটেন্টের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ ভিডিও প্রকাশিত হচ্ছে। আর এসব ভিডিওর পেছনে কাজ করেন দক্ষ ভিডিও এডিটররা। তাই এখন ভিডিও এডিটিং ক্যারিয়ার গড়ার এক বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে। ভিডিও এডিটিং ক্যারিয়ার শুরু করতে হলে প্রথমে ভালোভাবে এই কাজ শিখতে হবে। আজকাল অনলাইনে অনেক ভালো মানের ভিডিও এডিটিং কোর্স পাওয়া যায়।

একবার ভালোভাবে শেখার পর আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন, যেমন Fiverr, Upwork বা Freelancer.com-এ কাজ পাওয়া যায়। আবার চাইলে মিডিয়া হাউস, বিজ্ঞাপন সংস্থা, ইউটিউব চ্যানেল, ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি অথবা টিভি চ্যানেলেও চাকরি করতে পারেন। একজন পেশাদার ভিডিও এডিটর হিসেবে আপনি শুধু ভিডিও কাটাছেঁড়া শিখবেন না, বরং গ্রাফিক্স, ট্রানজিশন, কালার গ্রেডিং, অডিও এডিটিং ইত্যাদিও জানতে পারবেন। ২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার।

এ সবকিছুই আপনাকে এক দক্ষ মিডিয়া প্রফেশনাল হিসেবে গড়ে তুলবে। বর্তমানে অনেকেই ইউটিউবার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ভিডিও এডিটিং করে আয় করছেন। কেউ কেউ নিজেই কনটেন্ট তৈরি করে নিজের চ্যানেলে ভিডিও প্রকাশ করে ইনকাম করছেন। 

তাই ভিডিও এডিটিং এখন শুধু একটি স্কিল নয়, বরং এটি একটি লাভজনক ও সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার। যারা সৃজনশীল কাজ ভালোবাসেন, ভিডিও তৈরি ও সাজাতে আগ্রহী, তাদের জন্য ভিডিও এডিটিং ক্যারিয়ার হতে পারে জীবনের শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত।

ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম

বর্তমানে ঘরে বসেই স্কিল দিয়ে ইনকাম করার অন্যতম সহজ উপায় হচ্ছে ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম করা। আজকাল ছোট-বড় সব প্রতিষ্ঠান, ইউটিউবার, অনলাইন কোর্স নির্মাতা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের প্রতিনিয়ত ভিডিও এডিটরের দরকার হয়। তাই আপনি যদি ভিডিও এডিটিং শিখে ফেলেন, তাহলে ঘরে বসেই আয় করার সুযোগ তৈরি হয়ে যায়। অনেকেই ভিডিও এডিটিং শিখে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করছেন। 

যেমন: Fiverr, Upwork, Freelancer.com এবং PeoplePerHour এসব সাইটে ভিডিও এডিটরদের অনেক চাহিদা রয়েছে। একজন ভালো মানের এডিটর এসব প্ল্যাটফর্মে মাসে ১০০ ডলার থেকে ১০০০ ডলারের বেশি আয় করতে পারেন, এমনকি এরও বেশি। এছাড়া ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম করা সম্ভব। আপনি নিজেই যদি ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করেন এবং মনিটাইজেশন চালু করেন, তাহলে গুগল অ্যাডসেন্স থেকেও আয় শুরু হতে পারে। 

আবার অন্যদের ইউটিউব ভিডিও এডিট করে প্রতি ভিডিও ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। আরও রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এজেন্সিতে পার্টটাইম বা ফুলটাইম ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করার সুযোগ। দেশের অনেক ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি ভিডিও এডিটরদের ভালো বেতন দিয়ে নিয়োগ দেয়। ২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার।

সঠিকভাবে শিখে, ধৈর্য নিয়ে কাজ করলে ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম করা আজ আর কল্পনা নয়, বরং বাস্তব ও টেকসই একটি ক্যারিয়ার। এটি হতে পারে আপনার অনলাইন ইনকামের এক অসাধারণ মাধ্যম।

ভিডিও এডিটিং শিখতে কত দিন লাগে

ভিডিও এডিটিং শিখতে কত দিন লাগবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে আপনার শিখতে চাওয়ার গতি, আগ্রহ এবং আপনার শেখার সময়ের উপর। সাধারণত, যদি আপনি সম্পূর্ণ নতুন হন, তবে ভিডিও এডিটিং শিখতে প্রায় ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে। তবে, আপনি যদি দ্রুত শিখতে চান এবং সময় দিচ্ছেন, তাহলে এই সময়টি কমিয়ে আনা সম্ভব।

প্রথম ১ মাসঃ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করার বেসিক ধারণা এবং ভিডিও কাটাছেঁড়া, ট্রিমিং, টেক্সট যোগ করা এবং বেসিক ট্রানজিশন শিখতে কিছু সময় লাগতে পারে। এটি শেখার পর, আপনি ছোট ছোট ভিডিও এডিট করতে পারবেন।

২ থেকে ৩ মাসঃ এই সময়ের মধ্যে আপনি আরও উন্নত ধারণা পাবেন, যেমন কালার গ্রেডিং, অডিও মিক্সিং, ভিজ্যুয়াল এফেক্টস (VFX), মোশন গ্রাফিক্স ইত্যাদি। এই পর্যায়ে আপনি একটু বেশি পেশাদার ভিডিও তৈরি করতে শিখবেন।

৬ মাস বা তার বেশিঃ যদি আপনি প্রফেশনাল লেভেলে ভিডিও এডিটিং শিখতে চান, তাহলে আরও বেশি সময় দিতে হতে পারে। এই পর্যায়ে আপনি পুরো ভিডিও প্রোডাকশনের প্রক্রিয়া শিখবেন এবং বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।

এছাড়া, অনলাইন কোর্স, ইউটিউব টিউটোরিয়াল এবং স্থানীয় ট্রেনিং সেন্টারগুলোর মাধ্যমে আপনি নিজের স্কিল উন্নত করতে পারেন। ভিডিও এডিটিং শিখতে আপনি প্রতিদিন ১ থেকে ২ ঘণ্টা সময় দিলেও দ্রুত শিখতে পারবেন। এটি শেখা একটি ক্রমাগত প্রক্রিয়া, তাই যত বেশি প্র্যাকটিস করবেন, তত দ্রুত পারদর্শী হবেন। 

ভিডিও এডিটিং শিখতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষতা বাড়ে, তাই ধারাবাহিকভাবে চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত প্র্যাকটিস এবং টুলসের সাথে পরিচিত হলে, আপনি খুব তাড়াতাড়ি পেশাদার ভিডিও এডিটর হয়ে উঠতে পারবেন। মনে রাখবেন, সময় ও প্রচেষ্টা আপনার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে ২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। আমাদের আজকের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার সম্পর্কে  বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url