চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় এবং গ্যাস্ট্রিক দূর করার দোয়া

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে এই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কারণ আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনারা সঠিকভাবে জেনে যাবেন কিভাবে গ্যাস্ট্রিক দূর করা সম্ভব। তাই আসুন আর দেরি করে জেনে নিন।
চিরতরে-গ্যাস্ট্রিক-দূর-করার-উপায়-এবং-গ্যাস্ট্রিক-দূর-করার-দোয়া
এছাড়াও আপনারা আর্টিকেলের মধ্যে আরও একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে যাবেন সেটি হলো গ্যাস্ট্রিক দূর করার দোয়া। অনেকেই এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন যার কারণে আর্টিকেল এর মধ্যে এ বিষয়টি সম্পর্কেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করি সঠিক নিয়ম অনুসরণ করলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

ভূমিকা

বাংলাদেশে এখন বর্তমানে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই সমস্যা এড়াতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করেন। পাশাপাশি প্রাকৃতিক নির্যাস অর্থাৎ আয়ুর্বেদিক ঔষধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় এ সমস্যা আবারও তৈরি হয়। তাই চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য আপনারা কি পদক্ষেপ অনুসরণ করবেন তা আজকে আমি এই আর্টিকেলে আলোচনা করব। আজকের আলোচনায় থাকবে চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে এবং গ্যাস্ট্রিক দূর করার দোয়া সম্পর্কে। আশা করি এ বিষয়গুলো সম্পূর্ণ পড়লে গ্যাস্ট্রিক আপনারা খুব সহজেই দূর করতে পারবেন। তা দেরি না করে আসুন জেনে নিন।

সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। কিন্তু সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না তা কি জানেন? হয়তো অনেকেই জানেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছু খাবার খেলে কখনোই গ্যাস হবে না। অনেকেই না বুঝে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে পেটে গ্যাস করে নেয়। পরবর্তীতে গ্যাস্টিকের সমস্যায় ভুগেন। 

তবে আর চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। সকাল বেলা খালি পেটে কি খেলে গ্যাস হবে না এবং আপনার শান্তিতে থাকবে তা নিয়েই আজকের এই আলোচনা। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।

  • সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত উপকারী। যদি পারেন তাহলে পানির সাথে ইউসবুল ভুসি থাকলে যোগ করে খেতে পারেন এতে করে আপনার পেট গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি থাকবে। শুধু তাই নয় আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করবে।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনারা চাইলে লেবু খেতে পারেন। লেবু খেলে আপনার গ্যাস হবে না। এটি খাওয়ার নিয়ম হলো হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবু মিশ্রণ করে খেতে হবে।
  • এছাড়াও আপনারা চাইলে খালি পেটে আমলকি জুস খেতে পারেন। এতে করে আপনার আয়ু বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো। শুধু তাই নয় এটি খেলে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পেতে পারেন যা তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
  • শরীরের জন্য ডাল, বিনস এইসব অনেক ভালো হতে পারে। এগুলো খাওয়ার ফলে আপনার পেটের গ্যাসের সমস্যা খুব সহজেই দূর হবে এবং হজম করতে সহায়তা করবে।
  • বাঁধাকপি ফুলকপি এগুলো সকালে কখনই খাবেন না কারণ এগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রাফি নোজ থাকে তাই এটি সকালে খেলে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
  • যদি পারেন তাহলে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মুড়ি এবং জিরে একসাথে মিশ্রণ করে ভেজানো পানি দিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনার গ্যাসের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।
  • যদি আপনার গ্যাসের সমস্যা অনেক বেশি হয় তাহলে লবণ খাওয়া বাদ দিতে হবে পাশাপাশি ধীরে ধীরে যে কোন খাবার চিবিয়ে খেতে হবে। এতে করে আপনার পর্যাপ্ত হজম হবে এবং গ্যাসের সমস্যা হবে না।
তাহলে প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না। মূলত উপরে উল্লেখিত এই বিষয়গুলো অবলম্বন করলে আশা করি আপনার পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর হবে পাশাপাশি স্বাস্থ্য উন্নত হতে সাহায্য করবে।

পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ওষুধ

পেটে গ্যাসের ব্যথা একটি অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা, যা প্রায় সবাইকেই কখনও না কখনও ভোগায়। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত তেল-মসলা খাওয়া, অথবা হজমের সমস্যা থেকে এটি হতে পারে। তবে গ্যাসের ব্যথা কমানোর জন্য বাজারে অনেক কার্যকরী ওষুধ পাওয়া যায়, যা দ্রুত আরাম দিতে সক্ষম। যেমন-

এন্টাসিড ট্যাবলেটঃ এটি পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণ কমিয়ে গ্যাসের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।

কলিমক্স (Colimex): এটা হল একটি ব্যথা উপশমকারী ওষুধ যা পেট ব্যথা পেটের খিঁচুনি ফলাভাব অতিরিক্ত এসিডিটি ইত্যাদি রোগের সাথে যুক্ত ব্যথার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।

তবে এই ওষুধগুলো খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। কারণ আপনার স্বাস্থ্য সমস্যা দেখে তারপর ডাক্তার আপনাকে ওষুধ লিখে দিবেন।

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

পেটের সমস্যায় ভোগা মানুষ দিন দিন সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অনিয়মিত জীবন যাপন এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে কারণে ধীরে ধীরে শরীরের পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হয়ে যায় ফলে এসিডিটি বদহজং সহ আরো নানা ধরনের পেটের সমস্যায় দেখা দেয়। দেহের সমস্যার কারণে পেট সবসময় ফুলে থাকে এর মানে হলো অন্তর এবং পেটে গ্যাস জমা হয়েছে। 

বাইরে থেকে বিভিন্ন ধরনের তেলের ভাজা পোড়া, মদ্যপান করা ধূমপান করা ইত্যাদি করার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের মতো সমস্যা হয়ে থাকে। তবে এই সমস্যাগুলো হলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। এছাড়া আপনি চাইলে ধরো পদ্ধতিতে এ সমস্যাগুলো দূর করতে পারেন। 

আজকে আমি চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনারা সঠিক দিক অনুসরণ করতে পারেন তাহলে আশা করি আপনার চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর হয়ে যাবে। তাহলে আসুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুনঃ পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য সবচেয়ে প্রধান কার্যকর হলো পানি পান করা। যদি আপনি গ্যাসের সমস্যায় ভুগেন তাহলে যত দ্রুত সম্ভব পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন আশা করি গ্যাসের সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই পাবেন।

হাঁটা ও ব্যায়াম করাঃ প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হাটাহাটি এবং ব্যায়াম করলে আপনার পেটের গ্যাসের সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে। শুধু তাই নয় আপনার অন্তর ঠিকমতো কাজ করতেও সাহায্য করবে। ফলে পেটের গ্যাস গুলো বেড়ে দিতে সহায়তা করবে। প্রতিদিন এভাবে হাঁটাচলা করলে শরীরের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

গরম পানিতে গোসল করাঃ পেটের সমস্যা দূর করার জন্য গরম পানি দিয়ে গোসল করাটা অনেক ভালো একটি কার্যকর উপায়। দেখা গেছে গরম পানি পেট ব্যথা কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে সেইসঙ্গে গ্যাসের সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে। এমন কি আপনার পেটে গ্যাস হওয়া থেকে বাধা দেয়। এছাড়াও গরম পানি দিয়ে গোসল করলে অন্ত্রের উপর চাপ কম পড়ে ফলে অন্ত্র ভালো থাকে।

কলা খাওয়াঃ এমন অনেক ফল রয়েছে যেগুলো খেলে পেটের সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যায়। সেই সকল ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কলা। কলা খেলে আপনার গ্যাসের সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে। তাই আপনারা চাইলে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে কলা খেতে পারেন।

ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়াঃ আপনারা চাইলে পেটের সমস্যা দূর করতে খাদ্য তালিকায় বেশি বেশি ফাইবারযুক্ত খাবার যোগ করতে পারেন। কারণ ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে আপনার পেটের সমস্যা দূর হয়ে যায়। নারীদের ক্ষেত্রে দিনে ২৫ গ্রাম ও পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩৮ গ্রাম ফাইবার খাওয়া উচিত। আশা করি চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। 

গ্যাস্ট্রিক দূর করার দোয়া

যাদের গ্যাস্টিক ও আলসারের মত সমস্যা রয়েছে তারা এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কুরআনী আমল করতে পারেন। আশা করা যায় কোরআনী আমল সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে। তারা আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

যদি আপনাদের গ্যাস্ট্রিক অথবা আলসারের মত সমস্যা হয় তাহলে প্রতিদিন তিন বেলা ভাত খাওয়ার আগে বিসমিল্লাহ সহ সূরা কুরাইশ (লি য়ি লাফি কুরাইশ, ইলাফি হিম রিহ্ লাতাশ শিতায়ি ওছ ছয়িফ, ফালয়েয় বুদু রব্বা হাযাল বায়িত, আল্লাজি আত্ব য়ামাহুম মিন জুয়, ওয়ামানাহুম মিন খয়ুফ) ৩ বার পাঠ করে খাবারে ফুক দিয়ে প্রতিদিন ১ মাস পর্যন্ত খেতে থাকুন। 

আল্লাহর রহমতে অবশ্যই আপনার গ্যস্টিক,ও আলসার কমতে থাকবে। যদি আপনারা প্রতিদিন এভাবে খেতে পারেন তাহলে আপনার পেটের গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের জন্য কোনরকম ওষুধ সেবন করতে হবে না।

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম

গ্যাস দূর করতে কোন ঔষধ নয় আজকে দুই তিনটি কার্য ব্যায়ামের কথা কথা বলব যে ব্যায়ামগুলো শিখে নিলে যেকোন মুহূর্তে পেটের গ্যাস কমাতে আপনারা এই ব্যায়ামগুলো অনুসরণ করতে পারেন। গবেষণা বলছে ওষুধের চেয়েও এ ব্যায়াম গুলো পেটের গ্যাস কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। 

প্রিয় বন্ধুরা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হলে খাবার সময় বাতাস গ্রহণের ফলে কিংবা কোন বাতাস সইতে না পারলে পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে পেটে অত্যাধিক গ্যাস জমে যেতে পারে। যার ফলে অনেকের আলসার পর্যন্ত হয়ে যায় এবং পেট ফাঁপা হয়ে যায়, পেটব্যথা হয়ে যায়।

অধিকাংশ সময় চিকিৎসা ছাড়াই গ্যাস দূর করা যায়। তবে পেট ফাঁপা ও গ্যাসজনিত ব্যথা থেকে দ্রুত নিস্তার পেতে যে ব্যায়ামটি সর্বপ্রথম করবেন সেটি হচ্ছে পিঠের ওপর শুয়ে শূন্যে পা দুটিকে বাইসাইকেল এর মতো চালানো। গবেষণা বলছে এই ব্যায়ামটি পাঁচ মিনিট করলে পেটের গ্যাস অতি দ্রুত নির্মূল হয়ে যাবে। 

এছাড়া অনুসরণ করতে পারেন চাইল্ডস পোজ ও সিটেট টুইস্ট। আপনারা চাইলে এদুটো ব্যায়াম করতে পারেন বেশ কার্যকর। আপনি হাত দুটোকে সামনে দিয়ে রাখবেন নামাজের সেজদা দেওয়ার ভঙ্গিতে। তবে অবশ্যই হাটু, হাত এবং নাক কপাল সবগুলোই মাটির সাথে লাগতে হবে। এভাবে সর্বোচ্চ ১ থেকে দেড় মিনিট থাকুন। 

আপনি চাইলে এটা ৩ থেকে ৪ মিনিট বার রিপিট করতে পারেন। আর সিটেট টুইস্ট করতে হবে দুই হাত সামনে নিয়ে হাতের উপরে হাত রেখে দুই পা সামনে রেখে ডানে-বামে শরীর ঘোরাতে হবে। এছাড়াও আরেকটা সহজ উপায় বলবো সেটা হচ্ছে খাবার খাওয়ার পর সাথে সাথে বসে না থেকে অথবা শুয়ে না গিয়ে অল্প কিছুক্ষণ ধীর এবং স্থির গতিতে হাঁটলেও কিন্তু পেটের গ্যাস অনেক আংশিক কমে যায়।

এছাড়াও প্রবায়োটিক খেলে গ্যাস ও পেটে অস্বস্তি কমে। প্রবায়োটিকের অন্যতম উৎস হচ্ছে টক দই। এতে আছে ল্যাকটোব্যাসিলাস ও বিফিটুব্যাকটেরিয়াম এগুলো অন্ত্রের জন্য খুবই ভালো। খাবারের পর টক দই খাওয়া বেশ কার্যকর।

গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার

গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য কিছু খাবার রয়েছে যা আপনারা চাইলে খেতে পারেন। হয়তো অনেকেই জানেন না গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার কি কি রয়েছে। যেহেতু জানেন না সেহেতু চিন্তার কোন কারণ নেই আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যেই এই বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।

জিরাঃ আমরা প্রায় সময় রান্নাঘরে জিরা নামক একটি মসলা দেখে থাকি। মূলত এই মসলাটি রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা কয়জন জানি জিরা গ্যাস্ট্রিক ছাড়াতেও কার্যকর? হ্যাঁ বন্ধুরা এটাই সত্যি। যদি আপনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগেন তাহলে জিরা পানি খেলে আপনার বদহজম ও এসিডিটির মতো সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে।

মৌরিঃ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য আরেকটি খাবার হলো মৌরি। এডি সাধারণত গ্যাস্টিক সমস্যা দূর করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতেও অনেক বেশি সাহায্য করে। এই মৌরি আমাদের পাকস্থলী এবং অন্ত্রের বেশি গুলোতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

পুদিনাঃ যাদের পেট খাবার সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন পুদিনা পাতা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। এই ভেষজটি আপনার পেটে গ্যাস জমতে দেয় না। তার কারণ হলো এই পুদিনা পাতায় পেপারমিন্ট অয়েলে থাকে যা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল যৌগ। ফলে আপনার গ্যাসের সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি দিতে সাহায্য করে পুদিনা।

তুলসিপাতাঃ পেটের যে কোন সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকারী তুলসী পাতা। এটি প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই পাতার নির্যাস গ্যাস্ট্রাইটিসে আক্রান্ত ইঁদুরের গ্যাস্ট্রিক মিউকোসার প্রদাহ কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। তাই আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তাহলে নিয়মিত তুলসী পাতা খেতে পারেন। আশা করা যায় এটি ওষুধ ছাড়াই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।

ক্যামোমিল টিঃ পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য আরেকটি কার্যকরী খাবার হল ক্যামোমিল টি। এই ভেষজ চা প্রতিদিন খেলে কোন ওষুধ খেতে হবে না। আল্লাহর রহমতে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি আপনার আলতা থেকেও অনেকটা মুক্তি দিতে সাহায্য করবে এবং হজমের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

লেখকের মন্তব্যঃ চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

বন্ধুরা সর্বশেষে আপনাদের একটি কথা বলতে চাই চিরতরের গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য উপরে উল্লেখিত যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো যদি আপনারা সঠিকভাবে অবলম্বন করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা চিরতরে দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি গ্যাস্ট্রিক দূর করার দোয়া সম্পর্কে আপনারা হয়তো সকলেই উপরে জেনে এসেছেন। 

সেই দোয়াটি নিয়ম অনুসারি করলেই আশা করি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তাই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে তারা অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন পাশাপাশি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। (ধন্যবাদ)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url